বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৫

সালাহউদ্দিন আহমেদের অনুরোধে শেষ হলো আমজনতার তারেকের অনশন

Share

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অনশন ভাঙেছেন আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান। রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন ভবনের মূল ফটকে এসে সালাহউদ্দিন আহমেদ তারেকের অনশন ভাঙার নির্দেশ দেন।

এই সময় তিনি তারেককে বলেন, “আগামীকাল আপিল আবেদন করবে। এর মধ্যে কয়েকটি অফিস সংস্কার করবে। এখন তোমার অনশন ভাঙা উচিত।” এরপর তারেককে অ্যাম্বুলেন্সে নির্বাচন ভবনের সামনে থেকে তার সমর্থকরা নিয়ে যান।

গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন তিনটি নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নিবন্ধন না পাওয়া কারণে ওই দিন বিকেল ৪টা থেকে ইসির ফটকের সামনে অনশন শুরু করেছিলেন তারেক রহমান।

রোববার সকাল থেকে তারেকের স্যালাইন চলছিল। তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না এবং দিনের বেশির ভাগ সময় শুয়ে ছিলেন। মাঝে মাঝে উপস্থিত লোকজনকে তিনি নিজ দলের কাগজপত্র দেখিয়ে অভিযোগ করেন, নিবন্ধনের শর্ত পূরণ সত্ত্বেও ইসি তাদের নিবন্ধন দিচ্ছে না।

দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইসির একজন যুগ্ম সচিব তার অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে নিবন্ধন না পাওয়া পর্যন্ত তিনি অবস্থান ছাড়বেন না।

গত ৫ নভেম্বর ইসি আমজনতা দলকে চিঠি দিয়েছিল, কেন তাদের নিবন্ধন দেওয়া যায়নি তা জানিয়ে। ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মো. রফিকুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তথ্য সঠিক। তবে ২২টি জেলার মধ্যে দুইটি জেলা এবং ১০০টি উপজেলার মধ্যে ৬৭টি উপজেলায় সঠিক ও কার্যকর অফিসের তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব উপজেলা অফিসে ২০০ জন ভোটার সদস্য থাকার তথ্যও পাওয়া যায়নি।

ইসির নতুন ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “কী হবে সেটা আপনারাই ভালো জানেন, আমরা কী বলব?”

তারেকের অনশনের ১২৫ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়াসহ বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, “৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। নির্বাচন কমিশন কি বিধিমালার বাইরে যেতে পারে? আপনি উত্তর পেয়ে গেছেন।”

পরে বিকেল ৩টার দিকে আখতার আহমেদ বলেন, “আইনগতভাবে আমরা যা বলার, সেটা চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। এখন ওনারা আপিল করলে করতে পারেন এবং ঘাটতি যেগুলো আছে, সেগুলো পূরণ করতে পারেন। আপিল, সংশোধনী, পরিমার্জন, সময় বর্ধন—এগুলো প্রচলিত প্রথা। আশা করি, তারা অনশন ভেঙে আইনগতভাবে সমস্যার সমাধানের দিকে মনোযোগ দেবেন।”

Read more

Local News