যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা স্থানীয় সময় রোববার একটি বিল পাস করেছেন। যদি এটি প্রতিনিধি পরিষদেও পাস হয়, তাহলে পুনরায় ফেডারেল তহবিল বরাদ্দ শুরু হবে।
অর্থ বরাদ্দ বিল পাস না হওয়ায় গত ৪০ দিন ধরে দেশটির সরকারি দপ্তরে স্থবিরতা বা শাটডাউন চলছিল। এর প্রভাবে বিমানবন্দরগুলোতে ব্যাপক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, কয়েক হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
সিএনএন ও ফক্স নিউজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য আইনপ্রণেতারা একটি অন্তর্বর্তী বিল পাস করেছেন। এই বিল নিয়ে আলোচনার সময় স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি, খাদ্য সহায়তা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল কর্মচারী বরখাস্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল।
রোববার সিনেটে ভোটাভুটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডেমোক্র্যাট সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এখন বিলটি রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদে পাঠানো হবে। সেখানে পাস হলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পাঠানো হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আরও কয়েক দিন লাগতে পারে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে, আমরা শাটডাউন শেষের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।”
শাটডাউন অব্যাহত থাকলে বিমানবন্দরগুলোতে আরও অচলাবস্থা তৈরি হবে বলে সতর্ক করেন পরিবহন মন্ত্রী শন ডাফি। ফ্লাইট ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের মধ্যে ২,৭০০টিরও বেশি বাতিল হয়েছে, প্রায় ১০,০০০ ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মার্কিন কংগ্রেস নতুন বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থা কার্যত অচল হয়ে গেছে। প্রায় ১৪ লাখ ফেডারেল কর্মচারির মধ্যে কেউ বেতন ছাড়া, কেউ বাধ্যতামূলক ছুটিতে রয়েছেন। এই কর্মচারিদের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার সঙ্গে যুক্তরা যেমন আছেন, তেমনি সরকারি পার্কের তত্ত্বাবধায়কও রয়েছেন।
২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে শাটডাউন ৩৫ দিন স্থায়ী হয়েছিল। এবারের শাটডাউন সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

