সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

ফরিদপুরে প্রথমবারের মতো সফল পাটবীজ চাষ, চাষিরা পাচ্ছেন দ্বিগুণ লাভ

শেয়ার করুন

দেশের পাট উৎপাদনে ফরিদপুর জেলা দেশের ১ নম্বরে। তবে পাট ও পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এবার প্রথমবারের মতো সফলভাবে নাবী পাটবীজ চাষ হয়েছে। স্থানীয় উপজেলায় মোট আবাদি জমির ৮০–৯০ শতাংশে সাধারণত পাট চাষ হয়। কিন্তু পাটবীজের জন্য কৃষকদের শতভাগ বীজ অন্যত্র থেকে কিনতে হয়, যার বড় অংশ আসে ভারত থেকে।

বাংলাদেশ পাট অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ বছর ১০ একর জমিতে নাবী পাটবীজের চাষ শুরু হয়েছে। এতে সালথা উপজেলার ৯৩ জন চাষি অংশ নিয়েছেন। জেআরও ৫২৪ ও সবুজসোনা জাতের বীজ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা শতকপ্রতি খরচের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ লাভ আশা করছেন।

চাষিরা জানিয়েছেন, এটি তাদের জন্য নতুন উদ্যোগ। মাটিরাঙা উপজেলার মোক্তার মোল্যা ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ হাজার টাকার বেশি পাটশাক বিক্রি করেছেন। অন্যান্য চাষিরাও আশা করছেন বীজ সংগ্রহের পর পাটের আঁশ ও পাটকাঠি থেকে অতিরিক্ত আয় হবে।

উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, “উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় এই প্রথম নাবী পাটবীজ উৎপাদন করা হয়েছে। ১০ একর জমিতে বীজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলন তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে চাষির সংখ্যা বাড়বে এবং পাট বীজের জন্য দেশের নির্ভরশীলতা কমবে।”

বাংলাদেশ পাটচাষি সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন মোল্যা বলেন, “আমি নিজে আরও বেশি পাটবীজ চাষ করবো। আশা করছি সালথা উপজেলা পাটবীজ চাষে দেশের ১ নম্বরে থাকবে। এটি আমাদের জন্য দারুণ সম্ভাবনার পথ খুলেছে।”

সফল পাটবীজ চাষের ফলে স্থানীয় চাষিরা নিজ চাহিদা মিটিয়ে অন্য এলাকায়ও বিক্রি করতে সক্ষম হবেন, যা দেশের পাটবীজ আমদানি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সাম্প্রতিক খবর

এই বিভাগের আরও খবর