মুশফিকের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০তম টেস্ট খেলে এমনিতেই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। সেই বিশেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে এবার ঢুকে গেলেন এমন এক এলিট ক্লাবে, যেখানে ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে তার আগে ছিলেন মাত্র ১১ জন ক্রিকেটার।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মুশফিক। শততম টেস্টে শতকের খুব কাছে থাকায় চোখ ছিল সবার। প্রথম ওভারে সতর্কভাবে খেললেও দিনের দ্বিতীয় ওভারেই পৌঁছে যান কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের ঘরে। এর আগে তিনি করেছিলেন ১২টি সেঞ্চুরি, যার মধ্যে তিনটি রূপ নিয়েছিল ডাবলে।
তবে আজকের ১৩তম সেঞ্চুরি নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বিশেষ। মাত্র ৯৫ বলে শতক পূর্ণ করার পর স্বভাবসুলভ উদযাপনে মাতেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের এই নির্ভরতা।
নিজেদের শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারদের তালিকায় এখন মুশফিকের নাম যুক্ত হলো গ্রিনিজ, পন্টিংদের পাশে। ১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার এই রেকর্ড গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের কলিন কাউন্ড্রে। এরপর ১৯৮৯ সালে ভারতের বিপক্ষে এই কৃতিত্ব দেখান পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ।
১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজ। এরপর ছিলেন ইংল্যান্ডের আলেক স্টুয়ার্ট। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের ইনজামাম–উল–হক ভারতের বিপক্ষে তার শততম টেস্টে করেন ১৮৪ রান।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কিংবদন্তি রিকি পন্টিং দুইবার নাম লেখান এই তালিকায়—২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ শততম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ১৩১।
প্রোটিয়া ব্যাটার হাশিম আমলা শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে করেন ১৩৪ রান। ইংল্যান্ডের জো রুট এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার আবার আরও বিশেষ; দুজনই তাদের শততম টেস্টে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। ২০২১ সালে রুট ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইতে এই কীর্তি গড়েন, আর ওয়ার্নার ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেন ঠিক ২০০ রানের ইনিংস।
