পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি পাদদেশে বাঁশের মাচায় গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল বিলেতি ধনেপাতা। সুগন্ধি, পুষ্টিগুণ ও ভেষজ উপাদানে সমৃদ্ধ এই ধনেপাতা এখন সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা তৈরি করেছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, পাহাড়ি এই ধনেপাতার বাজার এখন ২০০ কোটি টাকার বেশি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলায় কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতিতে চমক দেখাচ্ছে বিলেতি ধনিয়া পাতা। উপযুক্ত ভূমি ও অনুকূল পরিবেশের কারণে লাভজনক ফসল হওয়ায় বিলাতি ধনিয়া পাতার চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার কাউখালী, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলার গ্রামে গ্রামে মাচার নিচে ঝুলছে সবুজ ধনেপাতা। অনেকে ধনে পাতা বাছাই করে আঁটি বেঁধে বাজারে পাঠাচ্ছেন। এরপর ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তা পৌঁছাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শহরে।
পাহাড়ি ভূমির আদর্শ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, আলো-ছায়ার ভারসাম্য এবং জমির রস ধরে রাখার গুণাগুণের কারণে এই ফসলটি এখানে অত্যন্ত সফলভাবে চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে মাচা ব্যবহার করে ধনেপাতার পাশাপাশি লাউ, বরবটি ও চিচিঙ্গার মতো সাথী ফসলও ফলানো যাচ্ছে।
অমিও চাকমা, যিনি এক একর জমিতে বিলেতি ধনেপাতা চাষ করছেন, বলেন— “বাজারে এখন প্রতি কেজি ধনেপাতা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ধনেপাতা বিক্রি করতে পারব।”
তিনি আরও জানান, একবার রোপণ করলেই একটি মৌসুমে চারবার পর্যন্ত ধনেপাতা সংগ্রহ করা যায়।
সজনি চাকমা বলেন— “ধনেপাতা চাষে মাচা দিতে হয়। সেই মাচায় আমরা লাউ, বরবটি চাষ করি। এতে বাড়তি আয় হয়। একই জমিতে দুই রকম ফসল।”
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন— “এই ধনেপাতার বাজারমূল্য এখন ২০০ কোটি টাকার বেশি। তাই আমরা কৃষকদের আরও উৎসাহ দিচ্ছি উৎপাদন বাড়াতে।”


