সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

‘মিরাকেল গ্রোথ’ সারের জাদু, যা বদলে দিচ্ছে ফসলের ভবিষ্যৎ

শেয়ার করুন

বাংলার মাটিতে কৃষি শুধু জীবিকা নয় একটি সংস্কৃতি। আর সেই মাটিতে যখন নতুন কোনো সার আসে, কৃষকরা প্রথমে সন্দেহ করেন, তারপর পরীক্ষা করেন। তবে গত দুই মৌসুমে এমন এক সার মাঠে এসেছে, যেটি সন্দেহ নয়—বরং বিস্ময় তৈরি করেছে। এর নাম— ‘মিরাকেল গ্রোথ’

এটি যেন সত্যিই এক “মিরাকেল”—কারণ জমিতে ছিটানোর পর ফসলের যেভাবে পরিবর্তন দেখা যায়, তাকে কৃষকেরা দেখছেন—মাটির বন্ধু হিসেবে।

অনেক সারই পাওয়া যায় বাজারে। কিন্তু ‘মিরাকেল গ্রোথ’ আলাদা কয়েকটি কারণে…

ছিটানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মাটির ভেতরে মাইক্রো-অ্যাকটিভ উপাদানগুলো কাজ শুরু করে।
ফলে গাছ:

  • দ্রুত সবুজ হয়
  • পাতায় উজ্জ্বলতা আসে
  • শিকড় গভীর হয়

এই সারটি পুরোপুরি রাসায়নিক নয়, আবার পুরোপুরি জৈবও নয়।
বরং একটি স্মার্ট ব্লেন্ড, যা:

  • মাটির উর্বরতা বাড়ায়
  • জমির ক্ষতিগ্রস্ত মাইক্রোবকে সক্রিয় করে
  • ফসলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দ্রুত দেয়

অনেক কৃষকের ভাষায়— এটা শুধু সার নয় মাটির জন্য টনিক।

তার ফলন বেড়েছে প্রায় ১৮–২২%
এবং সবচেয়ে বড় কথা—
সেচ ও সার দুটোই কম লেগেছে আগের তুলনায়।

মিরাকেল গ্রোথের বিজ্ঞান—কীভাবে কাজ করে? ন্যানো-গ্রানুল টেকনোলজি

ক্ষুদ্র দানাগুলো খুব সহজে মাটির সাথে মিশে যায় এবং শিকড় পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

মাইক্রোব অ্যাকটিভেটর মাটির জীবাণু সক্রিয় করে, ফলে জমি নিজেই পুষ্টি তৈরি করতে শুরু করে।

স্লো-রিলিজ ফর্মুলা একবার ছিটালে ২৫–৩০ দিন পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যায়।

কোন কোন ফসলে অসাধারণ কাজ করছে?

✔ ধান
✔ গম
✔ ভুট্টা
✔ সবজি
✔ ফলের বাগান
✔ ডাল ও তেলজাত ফসল

ফলন বৃদ্ধি ১৫% থেকে ৩০% পর্যন্ত দেখা গেছে।
(বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষি-পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে।)


  • জমি নরম ও উর্বর হয়
  • পানি ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ে
  • গাছ রোগ কম ধরে
  • সার কম লাগে, খরচ সাশ্রয়
  • ফলন বাড়ে, লাভ বাড়ে

এক কথায়—
কম খরচে বেশি ফলন।

কোম্পানি দাবি করছে, মিরাকেল গ্রোথ পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব ও মাটির দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।
তাদের লক্ষ্য:

  • কৃষকের আয় বাড়ানো
  • মাটির উর্বরতা পুনরুদ্ধার
  • রাসায়নিক সার নির্ভরতা কমানো

তাই এই সারের সাথে রয়েছে “Soil Revival Initiative”—
যার উদ্দেশ্য মাটিকে সুস্থ রাখা।

লুমিয়াস গ্রুপের ‘মিরাকেল গ্রোথ’ নামটা হয়তো বাজারজাতকরণের জন্য ভালো,
কিন্তু বাস্তবতা হলো—
এটি সত্যিকার অর্থেই কৃষকের মাঠে “মিরাকেল” দেখাচ্ছে।

এই সারের গল্প শুধু একটি পণ্যের সাফল্যের গল্প নয়—
বরং বাংলার মাটির ভবিষ্যতকে নতুনভাবে কল্পনা করার গল্প।

সাম্প্রতিক খবর

এই বিভাগের আরও খবর