আধুনকি পদ্ধতিতে কৃষিতে সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই এমন কিছু ব্যবহার করতে হবে তা যেন প্রাকৃতিক হয়। ঘরে বসেই আপনি এসব কীটনাশক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক পুরো বিষয়।
বাগান করার পর থেকে যদি আপনি কিছু হলুদ আঠালো কাগজ, ফেরোমন ট্র্যাপ, বিশেষ করে লাউজাতীয় গাছ, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, আম, পেয়ারা, কমলাগাছের পাশে ব্যবহার করা যায়, ৮-১০ দিন পরপর ঘরে বানানো কীটনাশক স্প্রে করে করা হয়, প্রুনিং করে গাছকে আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করা হয়, মালচিং, ডিপটিং ও রিপটিং এবং সুষম সার, সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ পানি সেচ দেওয়া হয়, তবে বাগানে এমনিতেই পোকামাকড়ের আক্রমণ সহনশীল পর্যায়ে থাকবে।
তাছাড়া গাছে ফল ধরার পর ফল ব্যাগিং করে দিলে ফলের ভেতর ফ্রুট ফ্লাই তার অভিপজিটর দিয়ে ডিম পাড়তে পারে না বিধায় ফলের ভেতর কিড়া হয় না। শুধু আম, পেয়ারা নয়, বরং লাউ, শসা, কুমড়া, করলা- এ সবই ফ্রুট ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে ফলে রক্ষা করা যায়।
বাড়িতে তৈরি কিছু কীটনাশক:
সাবান: এক লিটার পানিতে দেড় চা-চামচ তরল সাবান ঝাঁকিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।
নিম তেল: দুই চা-চামচ নিম তেল ও এক চা চামচ তরল সাবান এক লিটার পানির সাথে ভালোভাবে মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করা যেতে পারে।
মরিচের গুঁড়া: এক চা-চামচ শুকনা মরিচের গুঁড়া, এক চা-চামচ পেঁয়াজ রসুনের রস ও কয়েক ফোঁটা তরল সাবান এক লিটার পানির সাথে ভালোভাবে মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করা যেতে পারে।


