বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই। তিনি আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের ক্রাইম রিপোর্টার্স মিলনায়তনে এক গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, “বর্তমান সংবিধানের অধীনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এই সংবিধানে গণভোটের কোনো প্রভিশন বা সুযোগ নেই। সুতরাং আমাকে সংবিধান মানতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণভোট সবসময় হয়। এটি সংসদে পাস হওয়ার পরই করা যায়। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোটের অনুমতি নেই। তবে বিএনপি দেশের রাজনৈতিক সহনশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার জন্য নির্বাচনের দিন গণভোটে রাজি হয়েছে। এটি আমাদের উদারতার প্রমাণ।”
বিএনপি নেতা বলেন, “মানুষ এখন নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। দেশের সব সিদ্ধান্ত—বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, পারিবারিক বিষয়—এখন স্থগিত। আমাদের লক্ষ্য নির্বাচনকে সময়মতো সম্পন্ন করা।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যারা নির্বাচনের বাধা সৃষ্টি বা বিলম্ব ঘটাতে চায়, তারা কি সত্যিকারের গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ, নাকি অন্য উদ্দেশ্য নিয়েই রাজনীতিতে নেমেছে?”
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, যুব দল দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনামসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি ছিল লেখক মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিনের ‘আগামীর উন্নত জাতি গঠনের দিক-নির্দেশনামূলক সুপারিশ’ গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে।

